স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলাবাণী।।
এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে পড়ালেন ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের কাজী ইকবাল হোসেন। পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয়ের সাথে একই ক্লাসের পরীক্ষার্থী কানিশা এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই দুই শিশু তাদের অভিভাবকে না জানিয়ে ইকবাল কাজীর অফিসে গেলে কাজীর সহকারী মোঃ নিরব কোন আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে এই বিয়ে পড়িয়েছেন বলে হৃদয়ের পিতা সিরাজ মিয়া জানিয়েছেন।
এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে এই বিয়ের ঘটনা ঘটলেও অতি সম্প্রত্তি বিষয়টি প্রকাশে আসে। অবুঝ এই দুই শিশুর বিয়ে মেনে নেয়নি তাদের অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে কাজীর উপর চাপ সৃষ্টি করলে তিনি কৌশলে গতকাল ওই মেয়েকে দিয়ে আবার ওই ছেলেকে তালাক দেওয়ান।
স্থানীয়রা জানান, কাচিয়া ইউনিয়নের কাজী ইকবাল হোসেন ইতিপূর্বে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে জেল খাটলেও তিনি কোন পরিবর্তন হননি। বরং নিরব ও কামাল নামের দুইজন সহকারী রেখে নিয়মিত বাল্যবিবাহ পড়িয়ে যাচ্ছেন। এই অবৈধ কাজ করার জন্য তিনি নিজ অফিসের বাইরে চরনোয়াবাদ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে এই শিশুদের বিয়ে পড়িয়ে তাদের বাসরঘরের ব্যবস্থাও করেন বলে জানিয়েছেন বাল্যবিয়ের শিকার কানিজা আত্মীয় জাকির হোসেন।
বাল্যবিয়ে পড়িয়ে শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্টকারী ও সরকারের আইন অমান্যকারী এই ইকবাল কাজীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী ইকবাল হোসেন দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিয়ে পড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি জন্মনিবন্ধন কার্ড দেখে তাদের বিয়ে পড়িয়েছি। আমি কোন বাল্যবিয়ে পড়াই না।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৪৩:৪০ ১৯ বার পঠিত |