মিজান নয়ন,চরফ্যাশন অফিস ॥
ভোলার চরফ্যাশনের জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সমুদ্রে দিক নির্ধারণ কাজে ব্যবহৃত বিআই ডব্লিও টি এ’র একটি বয়া বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানার পর সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বয়া বিক্রির কিছু অংশের টাকা জমা দিয়ে বড় অংকের টাকা তিনি পকেটস্ত করেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।
জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যানের আবেদন সুত্রে জানাগেছে, সিত্রাং এর প্রভাবে গভীর সমুদ্রের জাহাজ, লঞ্চ, ফিসিং বোট,কার্গো এবং জেলে ট্রলার দিক নিধারণকারী একটি বয়া গত বছরের ২৪ অক্টোবর ভেসে এসে জাহানপুর ৯নম্বর ওয়াডের চর হাসানের বাগানের পাশে উঠে। বয়াটি নিরাপদ হেফাজতে নেয়ার জন্য গত ৬এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুমতি দিলে চেয়ারম্যান বয়াটি নিজ হেফাজতে নিয়ে গত সোমবার বয়াটি ঐ ইউনিয়নের পাঁচ কপাট বাজারের ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী সামছুদ্দিনের মাধ্যমে কেটে ফেলেন। সামছুদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের নির্দেশে তিনি বয়াটি কেটেছেন।
চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তিনি বয়াটি কেটে বিক্রি করেছেন। বয়া বিক্রির টাকা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বয়াটি তার হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছি কিন্তু বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়নি। নিলাম ছাড়া বয়াটি বিক্রি করা ঠিক হয়নি জানিয়ে একর্মকর্তা বলেন, যেহেতু চেয়ারম্যান বয়াটি কেটে বিক্রি করেছেন একারণে তার কথিত মতে ৪৮টাকা কেজি দরে ১৯শ কেজির টাকা উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, শুনেছি বয়াটি কাটার পর ওজন হয়েছে সাড়ে তিন টন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৮:৪৮ ১১৪ বার পঠিত |