চরফ্যাশন অফিস ॥
চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে মোরশেদা (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়ার অভিযোগে শশীভূষণ থানায় মামলা হয়েছে। আহত মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা বেগমসহ সাত জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পরই পুলিশ মামলার ১নম্বর আসামী ছকিনা বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোরশেদার ভাষ্যমতে এবং মামলা সুত্রে জানাগেছে, তার স্বামী বাচ্চু মালদ্বীপ পবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে প্রতিবেশী আবুল কালামের অবিবাহিত দুই মেয়ে রেশমা ও আয়েশা বাগানে দুই যুবকের সাথে কথা বলছিলো। এসময় তার মেয়ে নিশিতা ঐ ঘরের দিকে টর্চলাইট দিয়ে আলো ছড়ালে তাদের সাথে তর্কে জড়ায় কালামের পরিবার । তখন কালামের পরিবার তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন গভীর রাতে মোরশেদা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে গেলে প্রতিবেশী আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা , বড় মেয়ে রেশমা ও ছোট মেয়ে আয়েশা তাকে এলোপাথারী মারধর করে কুপিয়ে তার বাম হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়। স্বজনরা তাকে রাতেই চরফ্যাশন উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের ছোট ঝা ফহিমা বেগম জানান, হঠাৎ ঘরের বাহিরে চিৎকার শুনে তিনি বাহিরে গিয়ে দেখেন মোরশেদা শৌচাগারের সমানে রক্তাক্ত হাত চেপে ধরে মাঠিতে পড়ে আছেন। এসময় আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা , বড় মেয়ে রেশমা ও ছোট মেয়ে আয়েশা পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন তাদের সাথে আমাদের বিরোধ আছে ওই দিন ঝগড়া হয়েছে। তারা আমাদেরকে মারধর করেছে। তার হাত কাটার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
চরফ্যাশন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, ধারালো অস্ত্রে গৃহবধুর বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতের রগ কাটা পড়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, আহত গৃহবধু বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর মামলার ১নম্বর আসামী ছকিনা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৫:০২ ৭১ বার পঠিত |