বোরহানউদ্দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বোরহানউদ্দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার
বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২



এম এ আশরাফ।।ভোলাবাণী।। সারা দেশে ইলিশ প্রজন্ম ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে মেঘনা নদীতে রাতের অন্ধকারে ইলিশ ধরছে একশ্রেণির অসাধু দূর্বৃত্তরা।

বোরহানউদ্দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারস্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার তাদেরকে ম্যানেজ করে বোরহানউদ্দিন মেঘনার নদীতে চলছে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব। প্রভাবশালী জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। উপজেলার সেন্টার খাল, আলিমুদ্দীন, স্রোজগঞ্জ, হাকিমুদ্দিন, হাসান নগর ও মির্জাকালু সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অসাধু জেলেরা জাহাঙ্গীর মাঝির কারসাজিতে নদীতে দ্রুতগামী নৌকা পাঠায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলেরা জানান,

প্রায় প্রতিনিয়ত নৌকা দিয়ে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছে কালু মাঝি, দুলাল মাঝি, বাচ্চু মাঝি, মানসুর মাঝি, মনির মাঝি, রহিম মাঝি সহ ১৫/২০ টি নৌকা। যখন প্রশাসন টহল থেকে উপরে উঠে তখনি জাহাঙ্গীর মাঝি ফোন করলে নৌকা নদীতে যায় এবং তাদের সাথে লোকেশন শেয়ার করে। যার ভাগ আইনশৃঙ্খলা হতে শুরু করে মৎস্য অফিসের কর্মচারীরা পায়। তারা আরো জানান, নৌকা পাঠাতে হলে নৌ-পুলিশের সাথে কন্টাক্ট করে মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করতে যাইতে হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিধোজ্ঞা চলবে আগামী ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত।

মা ইলিশকে স্বাচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই এ সময়ে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী, সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশ আহরণে বিরত থাকা সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেদের সরকার খাদ্য সহায়তা হিসেবে দিছে ভিজিএফ চাল।

কিন্তু সরকারের এতসব উদ্যোগের পরেও রাতের অন্ধকারে দেশের মেঘনাসহ বিভিন্ন এলাকার নদীতে চলছে মা ইলিশ শিকার। দিনের বেলা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও রাতে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নদীতে যায় না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জাকালু নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম  জানান, অভিযানের এই কয়দিন নদীতে কোনো নৌকা নাই। নৌকা ধরার তো কোনো প্রশ্নই আসেনা

বোরহানউদ্দিন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) আলী আহম্মদ আখন্দ  জানান, মৎস্য অফিসের জাহাঙ্গীর মাঝি যদি নৌকা পাঠায় তাহলে ধরে পেলেন। তাছাড়া ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সোর্সকে খবর দিলে তারা সর্তক হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, যদি নৌকা নদীতে যায় তাহলে মৎস্য অফিসে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৭:০২   ৯০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ