মেহেদী হাসান মামুন।।ভোলাবাণী।।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা শশীগঞ্জ সুইচ ঘাট লঞ্চের পল্টনের সাথে দৃষ্টিনন্দন সংযোগ সড়ক ব্রিজ নির্মাণ। দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘব হয়েছে মনপুরা উপজেলা সহ আসে পাশের চরাঞ্চলের মানুষের।
দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ টি দেখার জন্য বহুদূর থেকে আসে শত শত মানুষ। এ নিয়ে নদীপথে যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে সীমাহীন আনন্দ। পল্টুন সহ ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট।
ব্রিজটি নির্মাণের ফলে তজুমদ্দিন থেকে রাজধানী ঢাকা, পাশ্ববর্তী উপজেলা মনপুরা, চর মোজাম্মেল, চর জহির উদ্দিন, চর নাসরিন, চর কলাতলীসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে নদীপথে যাতায়াত কারী যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
এর আগে বিআইডব্লিউটিএ প্লাটুনের সাথে একটি মাটির সড়ক করলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের চাপে সেটিও নদীর গর্ভে চলে যায়। পরে নদীতে জোয়ারের সময় হাটু পানি দিয়ে যাত্রীদের উঠা নামা করতে হতো প্লাটুনে। পল্টনে উঠার বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় যাত্রীদের এই ভোগান্তি ছিলো যেন নিত্য দিনের চিত্র। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা।
ব্রিজটি নির্মাণে সরকারি বরাদ্দের বাইরে ঘাট ইজারাদার মোঃ সবুজ তালুকদার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।স্থানীয়রা বলেন, আগে সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে গিয়ে বয়স্ক নারি পুরুষ ও রোগীদের অনেক সমস্যা হতো। এখন ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এখন আমরা গাড়ি নিয়ে ও এপার থেকে ওপারে যেতে পারছি খুব সহজে।
বিআইডব্লিইটিএ এর সহকারী পরিচালক ও ভোলা বন্দর কর্মকর্তা,মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা হওয়ার কারণে বিআরডব্লিউটি থেকে এখানে উন্নতমানের পল্টন ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে,পল্টুন সহ ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০২:৩৯ ৭৬ বার পঠিত |