লালমোহনে চাচা ভাতিজার দ্বন্ধ।।মামলায় নাজেহাল ভাতিজা

প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » লালমোহনে চাচা ভাতিজার দ্বন্ধ।।মামলায় নাজেহাল ভাতিজা
মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১




বিশেষ প্রতিনিধি।।

ভোলার লালমোহনে উপজেলার গজারিয়া পশ্চিম চর উমেদ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ইয়াসিন মোল্লার সন্তান হোসেন মিজান মোল্লা।যিনি একজন সফল ব্যাবসায়ী ও উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ নানা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে স্ব-পরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন। তার নিজ জন্মস্থান ভোলার লালমোহনে জরুরি প্রয়োজনে কিংবা ঈদ উৎসব সহ বিশেষ কোন দিনে নারির টানে ভোলায় আসেন বলে জানা যায়। স্থানীয় গ্রামের লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী হোসেন মিজান মোল্লা একজন দানশীল ও পরোপকারী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সামাজিক মানুষ। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় একজনব্যাক্তি। তিনি বিভিন্ন সময়ে অত্র অঞ্চলের গরীব অসহায় মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহায়তা করে থাকেন বলেও জানায় স্থানীয়রা।


তবে তার এই জনপ্রিয়তা এবং এলাকায় সুনাম বিনষ্ট করতেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও নানান ধরনের ষড়যন্ত্র।

জানা যায়, তারই আপন চাচা নাদে বক্সের ছেলে কাদের মোল্লা যিনি ঢাকায় বসবাস করেন। একসময় তার ভাতিজা হোসেন মিজান মোল্লার ব্যবসায়ীক পাটনার ছিলেন। তবে তার চাচার ব্যাবসায়ীক অসচ্ছলতা অর্থাৎ কাদের মোল্লার অসৎ চিন্তাভাবনা এবং দুষ্ট মানষিকতার কারনে সেই সম্পর্কের ফাটল ধরে।একপর্যায়ে দুজনের ব্যাবসায়ীক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে যাহা পরবর্তীতে  শত্রুতায় পরিনত হয়।


---এছাড়া উভয়ের মধ্যে স্থানীয় জায়গা-জমির পূর্বশত্রুতার জেরধরে কাদের মোল্লা ভাতিজাকে সামাজিকভাবে সন্মান বিনষ্ট করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তাই তিনি হোসেন মিজান মোল্লাকে লালমোহন গজারিয়া পশ্চিম চর উমেদ এর কথিত কতেক মামলাবাজ ও ভুমিদস্যু কাদের মোল্লার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী সহচর (১)গিয়াস উদ্দিন মোল্লা (২)মোঃ আহাদ মাস্টার (৩)মোঃ কালু মোল্লা (৪)সাত্তার মোল্লা (৫)ছিদ্দিক মোল্লা (৬)মিজান মোল্লা (৭)লোকমান মোল্লা এবং (৮)জালাল সরদার কে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মিজান মোল্লার  সন্মান হানী করার অপচেষ্টা লিপ্ত হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।


স্থানীয়রা আরো জানান,  ২০২০ইং সালে কাদের মোল্লার অন্যতম সহযোগী  গিয়াসউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী ফারজানা আক্তার চুমকি কতৃক কাদের মোল্লার প্ররোচনায় হোসেন মিজান মোল্লার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং (৬১৪/২০২০)। তবে উক্ত মামলাটি তথ্যপ্রমাণে কোন ভিত্তি না থাকায় হোসেন মিজান মোল্লাকে মামালা থেকে অব্যাহতি দেয় মহামান্য আদালত। পরবর্তীতে উক্ত মিথ্যা মামলায় ব্যার্থ হয়ে ২০২০ইং সালে গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে ফের আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং সি-আর (১১২/২০)। অতঃপর এই মামলাটিও মিথ্যা বলে গন্য হওয়ায় মহামান্য বিচারক আদালতে উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেন।

পরে ২০২১ সালে চর উমেদ এলাকার ৯নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মহিবুল্লাহ মোল্লাকে প্ররোচিত করে(সি-আর ৪/২১)আরো একটি মিথ্যা মামলা করান কাদের মোল্লাসহ গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। অত্র মামলার বিষয়ে বাদী মহিবুল্লাহ মোল্লা তার এক জবানবন্দিতে বলেন, মুলত হোসেন মিজান মোল্লার সন্মান হানী করতে গিয়াসউদ্দিন গংরা তাকে প্ররোচিত করে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায় বলে জানান। পরবর্তীতে তার নিজ বিবেকের তারনায় একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে তিনি উক্ত দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নেন বলে জানান তিনি। মহিবুল্লহ এই মামলাবাজ গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও কাদের মোল্লার বিচার দাবি করেন। এদিকে অপর একটি ঘটনায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বছর খানেক আগে গজারিয়া চর উমেদ ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর শ্রমিক কালু মোল্লা মহিউদ্দিনের মিলে কাজ করতে গিয়ে  লেদ-মেশিন চলা অবস্থায় হাত মেশিনে চাপ পরে গুরতর আহত হয়। এবং পরবর্তীতে ঢাকার উন্নত চিকিৎসার পর সুস্থ হন। তবে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্রকরে কাদের মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন চক্রান্ত করে হোসেন মিজান মোল্লাকে ফাসাতে দিনমজুর কালুকে  প্ররোচিত করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। যাহা সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রের ববহিঃপ্রকাশ বলে জানান স্থানীয়রা।  উক্ত মিথ্যা মামলাটি প্রমানিত হওয়ায় ভোলা লালমোহন জোনের সার্কেল এর নিজ তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে  একটি তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন। এবিষয়ে সেই দিনকার ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় শ্রমিক নিরবসহ অন্যন্যরা জানান, মুলত হোসেন মিজান মোল্লাকে বিতর্কিত করতে এবং তার সন্মান বিনষ্ট করতেই শ্রমিক কালুকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা করায় কাদের মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লারা।

এদিকে গজারিয়া চর উমেদ ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা বজলুর সরদার জানান, হোসেন মোল্লা একজন দানশীল ও পরোপকারী ভদ্র ভাল মানুষ। তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতেই পূর্বশত্রুতা উদ্ধার করতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে কাদের মোল্লার ষড়যন্ত্রে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। তাইতো দিনমজুর কালুকে প্ররোচিত করেও মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়েছেন বলে তার দাবি।এসময় তিনি কাদের মোল্লা ও তার সহচর মামলাবাজ ভূমিদস্যু গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিচার দাবি করেন।


৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর সরদার,পিতা মৃত;সামসুল হক সরদার জানান, তারা সকল ওয়ারিস গনের সিদ্ধান্তক্রমে চর উমেদ মৌজার ৪৮ শতাংশ জমি হোসেন মিজান মোল্লার কাছে ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করেন। তবে অত্র জমির আংশিক ওয়ারিস জালাল সরদার ও কাদের মোল্লার সাথে গোপনে আতাত করে বে-আইনি ভাবে জমিটি অবৈধ দখল করেন জালাল সরদার। যাহার প্রকৃত জমিটির মালিক হোসেন মিজান মোল্লা। এই জমি জোরপূর্বক জালাল সরদার সহ কাদের মোল্লা গংদের ভূমিদস্যুতায় দখল হয়ে আছে বলে জানান তিনি। তাই তার দাবি এহেন হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলার মুলহোতা মামলাবাজ ভুমিদস্যু কাদের মোল্লা,জালাল সরদার ও গিয়াসউদ্দিনকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।


উক্ত মিথ্যার মামলার বিষয়ে দিনমজুর কালুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মেশিনে কাজ করা অবস্থায় তিনি আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে পরবর্তীতে গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং কাদের মোল্লার মিথ্যা প্ররোচনায় হোসেন মিজান মোল্লার বিরুদ্ধে তিনিও মামলাটি দায়ের করেন বলেও জানান।


এব্যাপারে অভিযুক্ত  গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে এসকল মিথ্যা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিকদের কোন সুনির্দিষ্ট সঠিক উত্তর দিতে ব্যার্থ হন।তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তিনি অস্বীকার করেন।


এদিকে একাদিক মিথ্যা মামলার আসামি ষড়যন্ত্রের স্বীকার ব্যাবসায়ী হোসেন মিজান মোল্লা মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানান, তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলার মুলহোতা তারই চাচা কাদের মোল্লা।এবং তিনি তার সমাজে ইমেজ ও মান সন্মান বিনষ্ট করতেই মুলত তার গ্রামের বাড়ির কিছু বখাটে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের দিয়েই তার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা সাজায়। এবং বিভিন্ন নোংরা মানুষকে দিয়ে কথিত জজমিয়া নাটক সাজিয়ে এসব হয়রানি করে যাচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। তিনি এসকল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষাপেতে ভোলা জেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং মামলাবাজ কাদের মোল্লা ও তার সহচর গিয়াসউদ্দিন সহ সবার বিচার দাবি করে। তিনি ভোলা জেলা প্রশাসক সহ পুলিশ সুপার এবং সকল আইন শৃঙ্খলা বাহীনির কাছে সুবিচার দাবি করেন।



এবিষয়ে ভোলা লালমোহন জোনের সার্কেল এসপি মো.রাসেলুর রহমান জানান, দায়ের করা মামলাটি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। যদিও এবিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক রিপোর্ট তারা মহামান্য আদালতে পেশ করেছেন বলে জানান।

সর্বশেষ মিথ্যা মামলার বাদীর পক্ষে লালমোহন পুলিশের পক্ষহতে দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানিত হলেও মামলাবাজ গিয়াসউদ্দিন গং আদালতে পুলিশের রিপোর্টের ফের নারাজি দিলে,আদালত উক্ত মামলাটি ভোলার গোয়েন্দা শাখ (ডিবি) পুলিশ এর পুনরায় তদন্তের জন্যে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।


এবিষয়ে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, উক্ত মামলার বিষয়টি অতি দ্রুতই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট আদালত পেশ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৭:২১   ৮৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিশেষ প্রতিবেদন’র আরও খবর


দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়’
টাঙ্গাইল শাড়ি চিনবেন কীভাবে
ভোলায় চলছে জাটকা নিধন ॥ ইলিশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
ভোলায় শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপন্ন
ভোলার বন্ধন হেলথ কেয়ার চালু করল অনলাইন নার্সিং হোম সার্ভিস
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে স্কুল উধাওচরফ্যাশনে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
পরিবারিক ভ্রমণের জন্য ৪ টিপস
তজুমদ্দিনে সরকারি নলকূপ অকেজো, গরমে তীব্রতায় পানি সংকট।
ভোলায় আরো ৫ কূপ খননের পরিকল্পনাদেশর ২৯তম গ্যাস ক্ষেত্রর মর্যাদা পেয়েছে ইলিশা-১ কূপ।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিকথা

আর্কাইভ