চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী॥
ভোলার চরফ্যাশনের চেয়ারম্যান বাজারে ব্যবসায়ীর ঔষধের দোকান দখলের চেষ্টায় তৎপর রয়েছে প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকগংরা। গত রবিবার  দফায় দফায়  দোকানটিতে  হামলা, দখল চেষ্টার ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রনে  দোকান ঘরটি পুলিশ তাদের জিম্মায় নেন। ঘটনার একদিন পর আজ মঙ্গলবার বিষয়টি তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসবেন বিষয়টি মাথায় রেখে  দখলের চেষ্টাকারী সিদ্দিক গংরা ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই দোকানের সাটার বক্সে পপুলার মেডিসিন কর্ণার, পোঃ আবুল কালাম মেম্বার, পরিচালনায় জসিম উদ্দিন এবং তাদের মোবাইল নম্বর লেখা সাইন বোর্ডটি  ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজার ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সে চেষ্টা থেকে সরে যান। তবে তারা সাইন বোর্ডটির আংশিক ছিড়ে ফেলেছেন । বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাইন বোর্ড ছিড়ার একটি ভিডিও এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে।
দোকান মালিক মাহাবুব ও জসিম উদ্দিন জানান,  তাদের বাবা আবুল কালাম মেম্বার খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে চেয়ারম্যান বাজারের সদর রোডে (বর্তমান বিরোধীয় জমিতে) দোকানঘর নির্মাণ করে  প্রায় ৪২ বছর ধরে  ভোগ দখলে আছেন। যার ধারাবাহিকতায় আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে মাহাবুব এবং জসিম উদ্দিন ওই ২টি ভিটায় পপুলার মেডিসিন কর্নার এবং বাবুল মেডিকেল নামে দু’টি দোকান পরিচালনা করে আসছেন।  প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংরা ওই দোকান ভিটার মালিকানা দাবী  করে রবিবার বর্হিরাগত বিপুল সংখ্যক লোক নিয়ে  দোকান ঘর ২টি  দখলের চেষ্টা করেন। এসময় দোকানের মালিক মাহাবুব ও জসিমরা বাধাঁ দিলে তাদের মারধর করে দোকানের মালামাল লুুটের চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে দোকান মালিকপক্ষের স্ত্রী-সন্তানরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, আবুল কালাম মেম্বার দীর্ঘ প্রায় ৪২বছর পপুলার মেডিসিন কর্ণার নামের এই দোকানে ব্যবসা পরিচালনার পর তার দুই ছেলে মাহাবুব ও জসিম ব্যবসা করছেন। যারা এখন দোকানটি দখলের চেষ্টা করছেন তাদের যদি মালিকানা থেকেও থাকে তবে আইনী ভাবে আসতে পারতেন। এভাবে  একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে,মালামাল লুটকরে  দখলের চেষ্টায় আমরা হতবাক হয়েছি।
অভিযুক্ত সিদ্দিক জানান, আমাদের ভগ্নিপতি আবুল কালাম মেম্বারের ছেলেরা অন্যায়ভাবে আমাদের দোকান ভিটা ভোগ দখলে আছেন। আমাদের বাবা আশ্রাফ আলীর ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ছেলেরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা দাবী করছি।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান,  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আপাদতঃ দোকানঘরটি পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। মালিকানা দাবীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০২:১৮   ৭৭ বার পঠিত  |