আত্নহত্যা বলছে পুলিশ,পরিবারের দাবী হত্যা

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আত্নহত্যা বলছে পুলিশ,পরিবারের দাবী হত্যা
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১



নিজস্ব প্রতিনিধি॥ভোলাবাণী।।

---

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে রিয়াজ নামের এক জেলে বাবুর্চির মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবী প্রেম ঘটিত কারনে জাহানপুর ইউনিয়নের আটকপাট মৎস্য ঘাটে নোঙর করা জেলে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে ঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে বিষপানে আতœহত্যা করেছে। পুলিশ যুবককের মৃত্যু ঘটনাটিকে বিষপানে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় এনিয়ে টানাপোড়ানে মৃত্যুর মুল কারন নিয়ে দ্বিধাহীনতায় রয়েছে নিহতের পরিবার। বুধবার রাতে যুবককে মারধরের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে শশীভূষণ থানা পুলিশ যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠান এবং অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। নিহত যুবক রসুলপুর ইউনিয়নের উত্তর আইচা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মিলন ভুলাইর ছেলে।
শুক্রবার নিহতের বাবা মিলন ভুলাই অভিযোগ করেন, আমার চাচাতো বোন মরিয়মের মেয়ে শাহানাজের সাথে ছেলে রিয়াজের প্রেম সম্পর্ক চলছিলো। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে ছেলে রিয়াজ পরিবারের চাপে শাহনাজের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন। ঘটনারদিন চাচাতো বোন মরিয়ম তাদের সম্পর্কের কথাটি তাকে জানান এবং রিয়াজকে না পেলে তার মেয়ে শাহানাজ আতœহত্যা করবে বলে জানান। মেয়ের কিছু হলে চাচাতো বোন মরিয়ম তাকে (মিলন) কে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। ঘটনার রাতে আটকপাট ঘাটে নোঙর করা ট্রলারে তার ছেলে চলে যান। রিয়াজ প্রেমের ইতি টানায় ক্ষিপ্তহন শাহানাজের পরিবার। রাতে চাচাতো বোন মরিয়মের ভাইয়ের ছেলে সবুজ, রায়হান, রাজিব, ননদের ছেলে জসিম,দেবর জাকিরসহ কয়েকজন মিলে তাকে জাহানপুর ইউনিয়নের আটকপাট এলাকার মৎস্য ঘাটে নোঙর করা ট্রলার থেকে তাকে ঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরে গুরুতর আহত হলে হামলাকারীরা সংঙ্গাহীনবস্থা ওই জেলে ট্রলারে তাকে ফেলে যায়। বিষয়টি অপর জেলে ট্রলারের জেলেরা আচ করতে পেরে ট্রলার মালিক রহিম মাঝিকে খবর দেন। খবর পেয়ে ট্রলার মালিক রহিম মাঝি ঘটনাস্থলে এসে তার পরিবারকে না জানিয়েই গুরুতর আহত রিয়াজকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যুবকের অবস্থার অবনতি থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোলা রেফার করেন। রহিম মাঝি আহত রিয়াজকে ভোলা না নিয়ে ফের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়ি আনার পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃত রিয়াজকে বাড়িতে রেখেই রহিম মাঝিসহ অপর সবাই পালিয়ে যায়। প্রেম সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান করাই পরিকল্পিত ভাবে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবী।

ট্রলার মালিক রহিম মাঝি জানান, রিয়াজকে মারধর করে ট্রলারে ফেলে যায়। অপর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরে আমি হাসপাতালে যাই। এবং তার পরিবারকে খবর দেই তারা আসেনি। তারা কেউ না আসায় আমি ওই যুবকে তার বাড়িতে দিয়ে আসি।
কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আফজাল হোসেন জানান, ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে এলে তখন তার জ্ঞান ছিলো না। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভোলা রেপার করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. হানিফ জানান, হাসপাতালের তথ্যে রেজিষ্টারে ওই যুবক বিষপান করেছে বলে লেখানো হয়েছে। একারনেই প্রাথমিক ভাবে আতœহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে সুরাতহাল তদন্তে মরদেহের মুখে ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর কারন এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানাযাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০০:৪৮   ৮৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে স্বামীর প্রহার থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত-৩
চরফ্যাশনে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মানুষ
চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯
ইসরায়েলকে ‘সহায়তা করা’ নিয়ে মুখ খুলল সৌদি
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষেকর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের চাপ
আইপিএলে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড
উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে জনসভা ও পথসভা করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুছ
চরফ্যাসনে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা আহত-৪
আজ পহেলা বৈশাখ
ইসরায়েলে ইরানের হামলা শুরু

আর্কাইভ