গাজী মো. তাহেরুল আলম।। দুরপাল্লার বাস ও লঞ্চ ছাড়া সবধরনের যানবাহনই চলছে। এ নিয়ে নানান প্রশ্নও রয়েছে। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন আরও কিছুদিন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন পেতে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব। তিনি বলেন, সেরামের দ্বিতীয় ডোজ পেতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ভারতের সঙ্গে কথা বলছেন। এটা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে সোমবার (১৭ মে) ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। যদিও এসব পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া মহাসড়কে পরিবহনের তেমন চাপ নেই। অন্যান্য দিনের মতোই পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে চালকদের দাবি, দীর্ঘ দিন বেকার থাকায় বাধ্য হয়ে বাস নিয়ে মহাসড়কে বের হয়েছেন তারা।
জানা গেছে, দিনে মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকলেও রাতে সংখ্যা বেশি থাকে। এ ছাড়া পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন পরিবহনে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। এক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি বলে জানান তারা।
যাত্রীবাহী বাসচালকরা জানান, সরকারিভাবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের সংসার খরচ বন্ধ হয়নি। বাধ্য হয়ে বাস চালাচ্ছি। এ জন্য মামলাও খেতে হচ্ছে। ঢাকা যেতে অনেক জায়গায় বাঁধার সম্মুখীন হলেও আবারো ঢাকামুখী হচ্ছেন তারা।
এখন প্রশ্ন হলো,গণদুর্ভোগ ও পরিবহন শ্রমিকদের বেকারত্ব বিবেচনায় দুরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচলে সহসা কোনো পদক্ষেপ নেবে কী!
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৮:৪৯ ৫৮ বার পঠিত |