প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা উপবৃত্তি দেয়ার সুপারিশ

প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা উপবৃত্তি দেয়ার সুপারিশ
মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১



ভোলাবাণী ডেস্ক।।

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা উপবৃত্তি দেয়ার সুপারিশ

করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাখরচ বেড়েছে ১২ গুণ। ফলে শিক্ষার সুযোগপ্রাপ্তিতে সংকট তৈরি হয়েছে। স্কুলগামী ছেলেশিশুদের ৮ শতাংশ এবং মেয়েশিশুদের ৩ শতাংশ কোনো না কোনো উপার্জন প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে শহরের তুলনায় মানুষের আয় পুনরুদ্ধারের ও কাজের ভালো সুযোগ রয়েছে সেখানেও এই হার বেশি। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ গবেষণায় এটি উঠে এসেছে।সোমবার (১০ মে) অনলাইনে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

শিক্ষাখাতে অভিভাবকদের ওপর খরচের চাপ কমাতে দেশে প্রচলিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বৃত্তিপ্রদান কর্মসূচিকে শিক্ষা খরচ হিসেবে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তথ্য-বিবরণী থেকে প্রাপ্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে ২৯৬০ কোটি টাকা সরবরাহ করে সরকার বেশ দ্রুতই এই খাতে অর্থসংস্থান করতে পারে। এক্ষেত্রে একজন প্রাথমিকে একজন শিক্ষার্থীকে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা উপবৃত্তি দেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে দরিদ্রতার রূপ কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা জানতে পিপিআরসি এবং বিআইজিডি যৌথভাবে পুরো দেশজুড়ে তিনধাপে একটি টেলিফোন জরিপ করে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এটি করা হয়।

এই গবেষণার তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় অংশ হলো ‘কোভিড ইমপ্যাক্ট অন এডুকেশন লাইফ অব চিলড্রেন’।

ফলাফলে দেখা গেছে, দূরবর্তী শিক্ষণের জন্য যে সুবিধা থাকা দরকার তা আছে বা ব্যবহার করছে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। ফলে সরকারি ও বেসরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে এই বন্ধে লেখাপড়া শেখার হার খুব কম। অবশ্য যারা দরিদ্র নয় এবং শহরের বস্তিতে থাকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সেসব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার একটু বেশি। একই সঙ্গে কোচিংয়ে বা প্রাইভেট টিউশনে যাওয়ার প্রবণতা মাধ্যমিক স্তরে ৬১ শতাংশ। যারা দরিদ্র নয়, তাদের মাঝে এই হার বেশি (৭৪ শতাংশ)।

আবার শহরের বস্তি এলাকায় খরচ বেশি হওয়ার কারণে কোচিংয়ে যুক্ত হওয়ার হার কম। পড়াশোনায় যুক্ত থাকার আরেকটি পদ্ধতি হলো বাবা-মা বা ভাই-বোনের সহায়তায় পড়া। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ের চেয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে এই সহায়তাপ্রাপ্তির হার কম। মাদরাসায় বদলি হওয়ার প্রবণতা বেড়ে আগের চেয়ে চার গুণ হয়েছে এবং মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। যদিও ৯৫ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পুনরায় পাঠাতে আগ্রহী তবুও অর্থনৈতিক অবস্থাটি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

জরিপে দেখা যায়, শিক্ষণ ঘাটতির মুখে রয়েছে প্রাথমিক স্তরের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। শহরের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকি বেশি বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। নারীদের ২৬ শতাংশ এবং পুরুষদের ৩০ শতাংশ রয়েছে এই ঝুঁকিতে। দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের মাঝে যারা অতি দরিদ্র, সেইসব পরিবারের মাধ্যমিক স্কুলগামী ৩৩ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থীর কোভিড-সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধাক্কায় স্কুল ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৩:৪৩   ৭৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


ভোলার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ পন্য
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুর রউফ’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ভোলায় রমজান উপলক্ষে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশন
দাম অযৌক্তিক বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরাভোলায় ভরা মৌসুমেও কমেনি সবজির দাম: লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা
ভোলায় শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপন্ন
ভোলায় রাতের আঁধারে কম্বল হাতে মানুষের দ্বারে জেলা প্রশাসক
মনপুরায় বিষধর রাসেল ভাইপার উদ্ধার।।বনে অবমুক্ত
হোগলা পাতায় ভাগ্য বদলের সংগ্রাম শত নারী”র
ভোলায় ২দিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধন
কমে গেল আলুর দামভোলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামলো উপজেলা প্রশাসন।

আর্কাইভ