স্টাফ রিপোর্টার।।ভোলাবাণী।। ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস-সংযোগসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ‘আমরা ভোলাবাসী’ সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে বলা হয়, গ্যাসসমৃদ্ধ দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস ভোলাবাসীকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঘরে ঘরে সংযোগের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। বিগত সরকার সেভাবে কাজও শুরু করেছিল। সেই লক্ষ্যে ওই সময় প্রাথমিকভাবে পৌর এলাকা এবং পরে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়। সেই লাইনের আওতায় কমপক্ষে ২০ হাজার পরিবারকে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু মাত্র ২ হাজার ৩৫ জন গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ADVERTISEMENT
Aritifical Inteligence usesAritifical Inteligence uses
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, বিগত স্বৈরাচার সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের চক্রান্তে অসম চুক্তির মাধ্যমে ভোলার গ্যাস বাইরে ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়।
গোলাম নবী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বিগত ও বর্তমান সরকার আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করছে না। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্র-জনতা গ্যাস নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর ৮ মে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. মইনউদ্দিন এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করার জন্য সাত কর্মদিবস সময় নেন। ফলে আমরা ১০ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ১৯ মে আমরা ভোলাবাসীর জরুরি সভায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী ২৪ মে (শনিবার) বেলা ১১টায় ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে ইন্ট্রাকো-সুন্দরবন অভিমুখে পদযাত্রা ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।’
সংগঠনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভোলার প্রতিটি ঘরে গ্যাস-সংযোগ স্থাপন, ভোলাবাসীর চিকিৎসার সুবিধার্থে ভোলায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটিকে আধুনিকায়ন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা, গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ সার কারখানাসহ ইপিজেড গড়ে তোলা, ভোলাকে স্থায়ীভাবে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা এবং ভোলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোলাবাসীকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা জামায়াতের আমির মো. জাকির হোসেন, জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি ওবায়েদ বিন মোস্তফা, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক নাঈম, আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৮:৫৩ ৫৬ বার পঠিত |