ক্যাপসিকাম চাষে সফল ভোলার কৃষকরা

প্রথম পাতা » কৃষি ও প্রকৃতি » ক্যাপসিকাম চাষে সফল ভোলার কৃষকরা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪



স্টাফ রিপোর্টার।।ভোলাবাণী।।

ক্যাপসিকাম চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকরা। কয়েক বছর আগে এসব চরে প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে ভালো ফলন ও চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য কৃষকরাও ঝুঁকে পড়েন ক্যাপসিক্যাম চাষে। সেই থেকে বাড়তে থাকে চরে ক্যাপসিকাম চাষের পরিধি। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বাম্পার ফলন হয়েছে ক্যাপসিকামের। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট এখানকার কৃষকরা। এখানকার ক্যাপসিকাম মাঠ থেকে তুলতে না তুলতেই সরাসরি বরিশাল হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে চলে যায়। বেশি লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করার কথা ভাবছেন কৃষকরা।

 

ক্যাপসিকাম চাষে সফল ভোলার মাঝের চরের কৃষক সাহাবুউদ্দিন মিয়া

ভোলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ জেলায় ৭৪ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকামের আবাদ হলেও এ বছর ৮০ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৪ মেট্রিক টন হিসেব জেলায় এ বছর মোট ১ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ক্যাপসিকাম উৎপাদন হয়েছে।

মাঝের চরের কৃষক সাহাবুউদ্দিন মিয়া জানান, আমি এ বছর দুই একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছি। প্রতি একরে ১৪-১৫ টন করে প্রায় ৩০ টনের মত ক্যাপসিক্যাম ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় এখানে এসে পাইকাররা ক্যাপসিক্যাম নিয়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ করে আমরা ভালোই আছি।

কথা হয় ইলিশার কৃষক মো. রুবেলের সঙ্গে। তিনি জানান, এ চরে এমন কোনো ফসল নেই, যার চাষ করা হয় না। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় ক্যাপসিকাম। এ এলাকার মাটি ক্যাপসিক্যাম চাষে খুব উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন মিলে। দাম নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না। বিভিন্ন এলাকায় নৌযানে করে এ সবজি পাঠানো হয়। রায়পুর-লক্ষীপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায় এখানকার ক্যাপসিকাম। তিনি আরও জানান, এ চাষে রোগ বালাই বা পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই বললেই চলে। তাই ভোলার চাষীদের মধ্যে ক্যাপসিকাম চাষ আজকাল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, ভোলা জেলা বিগত দিনগুলোতেও ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ক্যাপসিকাম চাষে সফল এ জেলার কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে যাওয়া হচ্ছে। আগামীতে যদি পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৬:১৮   ৭৯ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও প্রকৃতি’র আরও খবর


ভোলায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
ভোলায় বোরো ধান কাটার ‘মাঠ দিবস’ উদযাপন
বোরহানউদ্দিনে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
ভোলায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
ভোলা সদরে পারিবারিক পুষ্টি-বাগানের উপকরণ বিতরণ
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনেভোলার চরাঞ্চলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ভোলায় বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ভোলায় রাতের আধারে কৃষকের করলা ক্ষেত উপড়ে দিল দুবৃর্ত্তরা
ক্যাপসিকাম চাষে সফল ভোলার কৃষকরা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ভোলায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ

আর্কাইভ