ভোলাবাণী ডেক্স।। মানুষ শব্দের চেয়েও চারগুণ দ্রুতগতিতে পাড়ি দিতে পারবে আকাশপথে। এটা এখন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে। চীনে তৈরি নতুন এই প্লেনটি ২১ বছরের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী সুপারসনিক এয়ারলাইনার হয়ে উঠতে পারে। যেখানে কনকর্ড নিজের সর্বশেষ ফ্লাইট তৈরি করেছিল ২০০৩ সালে।

সুপারসনিক প্লেন কনকর্ডের দ্বিগুণেরও বেশি গতির প্লেনের পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। বেইজিংভিত্তিক ‘স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন’ নামের কোম্পানিটির দাবি, যাত্রাবাহী এ প্লেনের গতি মাক ৪, মানে শব্দের গতির চারগুণ। কোম্পানিটি বলেছে, এ সপ্তাহান্তে নিজেদের ‘ইউনজিং’ প্লেনের প্রোটোটাইপের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি তারা নভেম্বরে এর ইঞ্জিন নিয়ে আরও পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এ সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের পুরোদস্তর অভিষেক ফ্লাইট হতে পারে ২০২৭ সাল নাগাদ। এমনটা জানা গেছে ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এ। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ‘ভিনাস অ্যারোস্পেস’ এমন এক জেট ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা মাক ৬ পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে, এমনকি ‘হাইপারসনিক অর্থনীতির ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারে’ বলে দাবি কোম্পানিটির।
এ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করা চীনা দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের পুরোদস্তুর অভিষেক ফ্লাইট হতে পারে ২০২৭ সাল নাগাদ। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে, চীনে তৈরি এ প্লেন ২১ বছরের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী সুপারসনিক এয়ারলাইনার হয়ে উঠতে পারে, যেখানে কনকর্ড নিজের সর্বশেষ ফ্লাইট সম্পন্ন করেছিল ২০০৩ সালে। পাঁচ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির নতুন প্লেনটি লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টায় ফ্লাইট সম্পন্ন করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এর আগে কনকর্ড প্লেনে আটলান্টিক অতিক্রমের দ্রুততম সময় ছিল দুই ঘণ্টা ৫৩ মিনিট, যেখানে প্রচলিত এয়ারলাইনারগুলোতে সময় লাগে প্রায় আট ঘণ্টা।
বাণিজ্যিক সুপারসনিক ফ্লাইট ব্যবস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করা বেশ কয়েকটি কোম্পানির একটি হলো স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ‘ভিনাস অ্যারোস্পেস’ এমন এক জেট ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা মাক ৬ পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে এমনকি ‘হাইপারসনিক অর্থনীতির ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারে’ বলে দাবি কোম্পানিটির। স্পেসএক্স ও টেসলা বস ইলন মাস্কও সুপারসনিক জেট নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে, তার কাজের চাপের কারণে এর নির্মাণ এখনো শুরু হতে দেখা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স, নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক ও গর্ত খননের উদ্যোগ বোরিং কোম্পানির মালিক মার্কিন এ বিলিয়নিয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, এমন একটি ‘ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটল)’ প্লেন তৈরি করা যেতে পারে।
‘আমি একটি সুপারসনিক, ইলেক্ট্রিক ভিটল জেট তৈরির জন্য মুখিয়ে আছি। কিন্তু নিজ কর্মতালিকায় আরও কাজ যোগ করলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে’, ২০২১ সালে টুইট করেছিলেন ইলন মাস্ক, যার আগে জো রোগান পডকাস্টেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৮:৩৬ ৬২ বার পঠিত | চীনের অভিনব গতির প্লেন