হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধ।।
আপনারা অনেক দল থাকার পরও আমাকে মানুষ হিসেবে ভোট দিয়ে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। ২০০১ সালে আ’লীগের একজন বড় মাপের নেতা তোফায়েল আহাম্মেদ আমার সাথে ভোলা-৩ আসনের নির্বাচনে দাড়িয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার অর্ধেক ভোটও পায়নি। তখন হাসিনা বুঝে গেছেন মেজর হাফিজকে ভোটে হারানো যাবে না। এরপরই আমার বিরুদ্ধে বড় মাপের এক সন্ত্রাসীকে প্রার্থী করে যে সন্ত্রাসী ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকার সদরঘাটে আমাকে বহন করা লঞ্চটি ভাংচুর করে আমার অনেক নেতাকর্মিকে মারপিট করে। পরে আমাদেরকে ঘরে বন্ধী রেখে রাতে আধারে ভোট ডাকাতি করে জনপ্রতিনিধি হয়েছে সেই সন্ত্রাসী।
বিগত ১৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে একদল সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখল করে জনগণের ভোট ডাকাতি করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে সাধারণ জনগণ বঞ্চিত হয়েছে প্রতি পায়ে পায়ে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি, শম্ভুপুর ইউনিয়ন (উত্তর) বিএনপি ও সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ বীর বিক্রম এসব কথা বলেন। পৃথক পৃথক পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু, সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হাওলাদার, চাঁচড়া বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সম্পাদক আবুল কালাম নিরব, শম্ভপুর ইউনিয়ন (উত্তর) বিএনপির সভাপতি গোলাম ছরোয়ারে আলম, সম্পাদক মোঃ ফখরুল আলম, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনছারুল হক পাটওয়ারী, সম্পাদক জাকির হোসেন মনু, চাঁদপুর ইউনিয়ন (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন জুলফিকার প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেজর হাফিজ আরো বলেন, আমি এমপি থাকাকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব চেয়ে মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু গত ১৬ বছরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় ক্যাডারদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে একজন সন্ত্রাসী পুরো উপজেলায় রামরাজত্ব কায়েম করেন। তিনি প্রশাসনের দলবাজী উল্লেখ করে বলেন, পুলিশের সাবেক দুইজন আইজিপি দলবাজী ও দূর্ণীতির কারণে বর্তমানে জেলে রয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় দেশে কি পরিমাণ দূর্ণীতি লুটপাট হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি ডাক বাংলোর হলরুমে নবগঠিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাথে পরিচিতি সভা ও মতবিনিময় করেন। পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু। পরে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ ও থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক ডাকবাংলোতে মেজর হাফিজের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন। এরপর তিনি লালমোহনের উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৯:২৩ ৭৪ বার পঠিত |