মনপুরা উপজেলায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরা উপজেলায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ
রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২



মোঃ ছালাহউদ্দিন।।ভোলাবাণী।।মনপুরা প্রতিনিধি।। ভোলার বিছিন্ন মনপুরা উপজেলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমন। উপকূলের এমন ঘর পাওয়া যাবে না যেখানে পরিবারের কোন সদস্য এই ছোঁয়াচে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এতে করে প্রতিনিয়ত উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই থেকে তিন শত রোগির চিকিৎসা দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

মনপুরা উপজেলায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর ও চোখের অসুখ

হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমান অনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে থাকা এই রোগের ঔষধও শেষ পর্যায়ে বলে জানান তিনি। তবে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এছাড়াও তিনি সবাইকে পুকুরে গোসল না করে কলের পানিতে গোসল করার পরামর্শ দেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলারও পরামর্শ দেন।

এদিকে উপজেলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একসঙ্গে ৪০ ছাত্রের জ্বর ও চোখের অসুখে কারণে ওই মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও উপজেলার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হ”েছন জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজিরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, হাজিরহাট হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা, হাজিরহাট এতিম খানা মাদ্রাসা, চরফৈজুদ্দিন বহুমুখী মাদ্রাসার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত।

জানা যায়, ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে চোখের রোগটির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে কনজাংটিভাইটিস। স্থানীয় ভাষায় যার নাম চোখ ওঠা রোগ। এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ হচ্ছে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, দেখতে সমস্যা হয়, আলোতে কষ্ট হয়, চোখ জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হয়, ঘুমতে ওঠার পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে লেগে থাকে।

এই রোগ প্রতিকার করতে চোখে হাত না দেওয়া, পুকুর বা নদী-নালায় গোসলের পরিবর্তে কলের পানিতে গোসল করা, চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা, রুমালের পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার, ধুলাবালি, আগুন এবং রোদে কম যাওয়া ও বিশ্রামের পাশাপাশি চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

এই ব্যাপারে প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এই বিচ্ছিন্ন উপজেলার প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা জ্বর ও চোখ ওঠা রোগে ভুগছে। দ্রুত স্ব কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন বাসিন্দাদের সর্তক ও রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ দেওয়ার ব্যবননা করলে রোগ মহামারি আকার ধারন করতে পারে।

এই ব্যাপারে উপজেলা স্বাং কমপ্লেক্সে এর স্বান কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান ষ্টেশনে না থাকায় স্বাস্থ     কর্মকর্তা ডাঃ আশিকুর রহমান অনিক জানান, প্রতিদিন দুই থেকে তিনশত রোগির চিকিৎসা দিতে হিমশীম থেতে ।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার জানান, স্বা কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থ  নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৪:৪৪   ৬২ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


প্রচণ্ড গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
শশীভূষণে পানিতে ডুবে দুই সহোদরের মৃত্যু
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল
৩ মাস ধরে বন্ধ বিদ্যুৎ প্লান্টতীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ভোলাবাসী
মনপুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধন ॥
চরফ্যাশনে স্বামীর প্রহার থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত-৩
চরফ্যাশনে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মানুষ
চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯
ইসরায়েলকে ‘সহায়তা করা’ নিয়ে মুখ খুলল সৌদি

আর্কাইভ