দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২



ভোলাবাণী ডেক্স ঃ বরিশাল নগরী ঘেঁষা কীর্তনখোলা নদীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জানায়, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

এ ছাড়াও, ভোলার খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৯০ হলেও বর্তমানে ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান সংলগ্ন মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ দশমিক ৪১ হলেও বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ৪ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। তজুমদ্দিন এলাকার মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। ঝালকাঠী বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে ২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮১ বর্তমানে ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৫ বর্তমানে ৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাথরঘাটা বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮৫ বর্তমানে ৩ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৬৮ বর্তমানে ২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৬৫ বর্তমানে ২ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর তীরের জনপদ, চরাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অধিকাংশ স্থানের গ্রামবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাজার হাজার একর ফসলী জমিও পানির নিচে রয়েছে। এ ছাড়াও, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারের পানির স্রোতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লালুয়া, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫:৪৮   ৬৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ