মনপুরায় জোয়ারের পানিতে বেড়ীবাঁধের বাহিরে ১০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরায় জোয়ারের পানিতে বেড়ীবাঁধের বাহিরে ১০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ
শনিবার, ১৮ জুন ২০২২



 মোঃসালাহ উদ্দিন।। ভোলাবাণী।। মনপুরা প্রতিনিধি ॥
ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরায় দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পূর্ণীমার প্রভাবে মেঘনার পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। দিনে-রাতে দু’বেলায় জোয়ারে পানিতে বেড়ীবাঁধের বাহিরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত আনুমানিক ১০ হাজারের ওপর মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ীবাঁধহীন সদ্য ঘোষিত নতুন ইউনিয়ন কলাতলী ও ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরনিজাম এলাকা। শুক্রবার বিকেলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন কলাতলীর ইউপি সদস্য আবদুর রহমান।
এদিকে প্রবল বর্ষণ ও পূর্ণীমার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।

মনপুরায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিতশুক্রবার বিকেল ৪টায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন, দাসেরহাট, চরজ্ঞান ও সোনারচর গ্রামের বেড়ীবাঁধের বাহিরে নি¤œাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিরপাড়, কূলাগাজী তালুক, কাউয়ারটেক গ্রামের বেড়ীরবাঁধের বাহিরের অংশ প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে নতুন বেড়ীবাঁধহীন কলতালী ইউনিয়নের চরকলাতলী ও চরখালেক গ্রাম জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাটের বেড়ীবাঁধের বাহিরের নি¤œাঞ্চল ও বিচ্ছিন্ন চরনিজামে জোয়ারে প্লাবিত হয়।
এদিকে প্লাবিত এলাকার নি¤œ আয়ের মানুষ রান্না করতে না পারায় অভূক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার জসিম, হাবিব, মাকছুদ, কামাল, রহিমা, ঝুমুর, কুদ্দুসসহ ১নং মনপুরা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্লা আলমগীর। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি তারা।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আল নোমান মুঠোফোনে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে প্লাবিত এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, ভোলায় মেঘনার পানি বেড়ে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঢালচর, চর পাতিলার রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ন এলাকা।
উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ এবং পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরের পর থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীসার ৩১সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ঢালচরের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারনে নদীর তীরবর্তী দ্বীপচর ও উপকূলের বাঁধের বাইরের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে কোথায় কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ সময়: ৯:০১:৪৬   ৬৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী
প্রচণ্ড গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
শশীভূষণে পানিতে ডুবে দুই সহোদরের মৃত্যু
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল
৩ মাস ধরে বন্ধ বিদ্যুৎ প্লান্টতীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ভোলাবাসী
মনপুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধন ॥
চরফ্যাশনে স্বামীর প্রহার থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত-৩

আর্কাইভ