সেলিম রানা ।।ভোলাবাণী।। চরফ্যাসন উপকূলের ইলিশের প্রজননক্ষেত্র এবং অভয়াশ্রমে বেড়েউঠা জাটকা ইলিশের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে জাটকা সংরক্ষণে উপজেলা টাস্কফোর্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।গত একমাসে উপকূলের প্রজননক্ষেত্র ও অভয়াশ্রমে ২৭ টি অভিযানের বিপরীতে ২১ টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে ৪০ টি মামলার বিপরীতে ২২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
জেল- জরিমানা করা হয়েছে ১৫৮ জন জেলেকে। উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। , জানাযায় জাটকা সংরক্ষণের লক্ষে ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ২ মাসব্যাপী উপকূলের ইলিশ প্রজননক্ষেত্র এবং অভয়াশ্রমে সবধরনের মাছ ধরার উপর বিধি নিষেধ বহাল ছিল। এসব বিধি নিষেধ কার্যকর করতে জাটকা সংরক্ষণে উপজেলা ট্রাস্কফোর্স এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উপকূলব্যাপী জোর তৎপরতা বজায় রেখে জেলেদের মাছ শিকার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে।
গত ৩০ দিনে উপজেলা ট্রাস্কফোর্স ২৭ টি অভিযান করেছে। আটক করেছে ২২৪ জন জেলেকে। এসব জেলেদের বিরুদ্ধে ২১ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নিয়মিত মামলা হয়েছে ৪০ টি। মোবাইলকোর্টে জেল- জরিমানা হয়েছে ১৫৮ জন জেলের। আটক করা হয়েছে ২২১ টি বিহুন্দীজাল ও ৪২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল- এগুলো পুড়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, অভয়াশ্রম এবং ইলিশপ্রজনন জোনে মাছধরার বিষয়ে বিধিনিষেধ উঠে গেলে ও এখন থেকে জাটকা শিকারের উপর বিধিনিষেধ বহাল আছে। জাটকা শিকার এবং বিপনন থেকে সকল কে বিরত রাখতে উপজেলা ট্রাস্কফোর্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যহত আছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, জাটকা শিকার থেকে জেলেদের বিরত রাখতে চরফ্যাসন উপজেলায় জেলেদের বিতরনের জন্য ১৭৭২ দশমিক ৮৮০ মে. টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মাধ্যমে এসব চাউল তালিকাভুক্ত জেলেদের মাধ্যমে বিতরন শুরু হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে ২ মাসে ৮০ কেজি করে চাউল পাবেন। চরফ্যাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আব্দুল্লাহ খান বলেছেন, ইলিশ দেশের সম্পদ এবং জেলেরাই এই সম্পদের সবচেয়ে বেশী সুবিধাভোগী।দেশের ইলিশ সম্পদের সুরক্ষার স্বার্থে জাটকা ইলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাটকা ইলিশের নিরাপত্তার স্বাার্থে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৬:২৫ ১০৪ বার পঠিত |