বিশেষ প্রতিনিধি।। ভোলাবাণী।।
চরফ্যাসনের দুলারহাটে ৫০ বছরের দখলীয় বসত বাড়ির সিমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়ে বিধবার প্রায় কুটি টাকার জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নুরাবাদ ই্উপি চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের লোকজনের দাবীকৃত ৩ লাখ টাকা না দেয়ায় বসত বাড়ির সিমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগি পরিবারের।
সোমবার (০৩/০১/২২) তারিখ সকালে দুলারহাট থানার চর তোফাজ্জল গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় বিধবা গৃহকত্রী হালিমা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।গৃহকত্রী হালিমা খাতুন অভিযোগ করেন, দুলারহাট থানার চর তোফাজ্জল মৌজায় এসএ ৭৮/১ নং খতিয়ান ও দিয়ারা ৬৭৬ নং খতিয়ানের হালে ৪২১২ দাগে ২৮ শতাংশ জমির খরিদ সুত্রে মালিক হন বাবা ডাক্তার তোফজ্জল হোসেন হন। তার মৃত্যুর পর মেয়ে হালিমা খাতুনসহ ৪ বোন ৬ ভাই ওই জমির ওয়ারিশ সত্রে মালিক হন। বাবার ওয়ারিশি জমিতে বসত বাড়ি ও ঘর নির্মান করে সিমানা প্রচীর দিয়ে ভোগ দখলে আছেন। রোববার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের অনুসারী ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন ওই জমি ভোগ দখল করতে হলে চেয়ারম্যানসহ তাকে ৩লাখ টাকার চাঁদা দাবী করেন।
তার দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় সোমবার সকালে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় ভূমিদস্যু বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তার বসত বাড়ির সিমানা প্রাচীর ভেঙে গুড়িয়ে দেন। প্রায় লক্ষাধীক টাকার গাছ কেটে নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেন। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবরে ফয়েজ উদ্দিনসহ কয়েক জনকে আসামী করে লিখিত অভিয়োগ দিয়েছেন।অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন টাকা দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান,ওই জমি ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন। ওই জমি তারা জবর দখল করে আছেন। ওই জনগনের জমি জনগন উচ্ছেদ করছেন।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৬:৪৩ ১১২ বার পঠিত |