গাভী পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমোহনের সামত্যভানু।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গাভী পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমোহনের সামত্যভানু।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১



খলিল উদ্দিন ফরিদ।।ভোলাবাণী।।সম্পাদকীয়।। গাভী পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমোহনের  সামত্যভানু। গাভী পালন করে অনেক বেকার যুবকরাও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সম্প্রতি গাভী পালন করে বেকারত্বকে হার মানিয়েছেন ।তেমনি পরিশ্রমে ধন আনে’ এই মূল মন্ত্রকে সামনে রেখে গাভী পালন করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার পাঙ্গাসিয়ার সামত্যভানু। সামত্যভানু পরিশ্রম করে অর্থ আয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এখন উপজেলার রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন।

গাভী পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমোহনের সামত্যভানু।

ভোলার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “পরিবার উন্নয় সংস্থা” গজারিয়া শাখা থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহন করে ১ টি গাভী কিনে খামার শুরু করে আজ তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত। বেকারত্ব আর সংসারের অভাব দূর করতে প্রথমে অল্প পরিসরে গাভী পালন শুরু করলেও অক্লান্ত পরিশ্রম আর সাহসের জোরে এখন তা খামারে রূপ নিয়েছে।তার গাভী পালনের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে ঝুঁকেছেন গাভীর খামারের দিকে।সামত্যভানুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় যখন তাদের সংসারে ছিল নানা অভাব অনটন। অর্থাভাবে পরিবার নিয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হতো ।এখন ৩ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।এখন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে দুধ বিক্রি করে হয়ে উঠেছে স্বাবলম্বী।

সামত্যভানু আরও জানায়, আগে তাদের দেশি গরুর দুধ হত ২-৩ লিটার এখন অস্ট্রেলিয়া জাতের গাভী হওয়ায় কোনো কোনো গাভীর ১৬-১৮ লিটার পর্যন্ত দুধ হয়। তাদের ছোট একটি খামারে বর্তমানে গাভী রয়েছে ১৩টি, বকনা ৮টি, বাছুর ৫টি। বর্তমানে তাদের গরুর প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। তারা নিজেরা দুধ বিক্রির টাকা থেকে সংসার চালানোর পর সঞ্চয় করেন এবং সে পুঁজি দিয়ে এখন তারা নিজেরা স্বাবলম্বী।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।স্বামী আর ছোট ছেলের সহযোগিতায় প্রথমে ১ টা গাভী দিয়ে শুরু করেছি । এর মধ্যে আমরা ১০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছি।আগের ঘর বাদ দিয়ে নতুন করে বড় ঘড় বানিয়েছি।গাভী বিক্রি করে গাভীর খাবারের জন্য ৬৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি।সেখানে উন্নত মানের ঘাস চাষ করে খামার পরিচালনা করছি।

সামত্যভানু আরও জানায়, পরিবার উন্নয় সংস্থা গজারিয়া শাখা থেকে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সহায়তা করেছে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গাভী পালন করে আজ আমরা স্বাবলম্বী। এখন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা করাতে পারছি। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি গাভীর দুধ বিক্রির টাকায় সংসার চলে। তবে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পেলে খামারটি আরও বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। ভবিষ্যতে তিনি নিজেকে একজন মডেল খামারি হিসেবে দেখতে চান।তাদের দেখাদেখি উপজেলার অনেক নারীরা এখন গাভী পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
ভোলার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “পরিবার উন্নয় সংস্থা” গজারিয়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক জনাব,সিহাব উদ্দিন বলেন, এখানকার গ্রামের মানুষ জন্মগতভাবেই কঠোর পরিশ্রমী। এরা উন্নত জাতের গাভী পালনে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করে। আমরা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সহজ শর্তে ঋণ বিতরন করে উৎসাহিত করার চেস্টা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মানিক বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি উপজেলার গ্রামগুলোতে উন্নত জাতের গবাদি পশু পালন বৃদ্ধির এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের নিশ্চিত বিপণনে কাজ করছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। বিশেষ করে চিকিৎসা সহ কারিগড়ি সহযোগীতা প্রদানের চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৪:৩২   ৯০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


প্রচণ্ড গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
শশীভূষণে পানিতে ডুবে দুই সহোদরের মৃত্যু
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল
৩ মাস ধরে বন্ধ বিদ্যুৎ প্লান্টতীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ভোলাবাসী
মনপুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধন ॥
চরফ্যাশনে স্বামীর প্রহার থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত-৩
চরফ্যাশনে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মানুষ
চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯
ইসরায়েলকে ‘সহায়তা করা’ নিয়ে মুখ খুলল সৌদি

আর্কাইভ