ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভোলা জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভোলা জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম।
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী।। ১৬ বছর ধরে পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভোলা জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম। যেকোনো মুহূর্তে ভবন ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বছরের পর বছর এই ভবনে কার্যক্রম চললেও কার্যালয় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর মডেল থানা ক¤পাউন্ডের পরিত্যক্ত ভবনে চলছে কার্যক্রম। গত এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা কয়েক হাজার যানবাহন আটক করেছে। এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে দুই হাজার ২৭৭ মামলা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। এসব মামলায় কোটি টাকার ওপর জরিমানা আদায় করে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দিয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভোলা জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম।

ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গত এক বছরে (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১-এর ৩০ জুন পর্যন্ত) বিভিন্ন অপরাধে দুই হাজার ২৭৭টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২৫টি মামলা নি®পত্তি করা হয়। এসব মামলায় ৮১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ওই টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দেয় ট্রাফিক বিভাগ। চলতি বছরের জুন মাসে ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা এবং জুলাই মাসে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। করোনার সংক্রমণরোধে চলা লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় এই দুই মাসে জরিমানার পরিমাণ বেশি।
পুলিশ সুপার বলেন, শুধুমাত্র দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন আটক করা হয়। মামলার পর বেশির ভাগ যানবাহন জরিমানা পরিশোধ করে ছাড়িয়ে নিয়ে যান মালিকেরা। বর্তমানে আটক কোনও যানবাহন নেই। ট্রাফিক পুলিশের মামলা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে যেসব জরিমানা করা হয়, সেগুলোও রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া হয়। মামলার জরিমানা থেকে আয় সংশ্লিষ্ট সরকারি খাতে জমা হয়। এখান থেকে কাউকে কোনও ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, সদর মডেল থানা ক¤পাউন্ডের পরিত্যক্ত ভবনে চলছে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়। ১৯৪২ সালে নির্মিত ভবনটিতে একসময় ভোলা থানার কার্যক্রম চলতো। গত ১৫-১৬ বছর ধরেই এটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ২০১৫ সালে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত বিভাগ। বর্তমানে শহরের তিন খাম্বা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি দেখা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে ভবনটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বর্তমানে দুই জন টিআই, তিন জন সার্জেন্ট, এক জন টিএসআই, পাঁচ জন এটিএসআই ও ১৪ জন কনস্টেবল দিয়ে জেলার ট্রাফিক কার্যক্রম চলছে। এখানে আরও জনবল ও কর্মকর্তাদের যানবাহন দরকার।
শহরের বিভিন্ন পণ্যের ডিস্ট্রিবিউটর সাামাদ রবিন বলেন, অভিযানের সময় ট্রাফিক পুলিশ কারণে-অকারণে আমাদের জরিমানা করে। একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে রিটেইলারের দোকানে পৌঁছে দেয়। অথচ রিটেইলারের দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে আমাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমার মতো এরকম অনেককে জরিমানা দিতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক সার্জেন্ট সোয়েবুল ইসলাম বলেন, অযথা কাউকে জরিমানা করা হয় না। অনেক জেলায় ট্রাফিক পুলিশের একাধিক জোন রয়েছে। কিন্তু ভোলায় নেই। চরফ্যাশন উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম নেই। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অনুরোধে শহরের একজন সার্জেন্ট লালমোহন বাজারে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:২৫   ৮৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলায় মহানবী (সা.) কে কটুক্তিকারীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
শশীভূষণ বাজারে অগ্নিকান্ডে তিন দোকান পুড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ভোলায় তিনদিন ব্যাপী সাংবাদিকদের বেসিক জার্নালিজম ট্রেনিং এর উদ্বোধন
ভোলার কৃষকরা ঝুঁকছেন ক্যাপসিকাম চাষে
স্মার্টফোনে ই-লাইসেন্স দেখিয়েও গাড়ি চালানো যাবে
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি সুন্দরী
মনপুরায় রোগীদের সহায়তার ৩ লক্ষ টাকার চেক বিতরন ॥
ভোলা ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল।
মনপুরায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
ভোলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন

আর্কাইভ