তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের আকাল, মহাজনের দাদনে দিশেহারা জেলেরা

প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের আকাল, মহাজনের দাদনে দিশেহারা জেলেরা
শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১



হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

ভোলার মেঘনায় ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও চলছে ইলিশের আকাল। মৌসুমের তিন মাস শেষ হলেও কাংখিত ইলিশ মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে জেলেরা। যে কারণে অনেক জেলে মহাজনের দাদন ও এনজিও’র ঋণের কিস্তির ভয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের আকাল, মহাজনের দাদনে দিশেহারা জেলেরা

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ শিকার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার প্রায় ২০ হাজার জেলে। বছরের এপ্রিল মাস থেকে পূরোদমে ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ায় অনেক জেলে মহাজনের দাদন ও এনজিওর কাছে ঋণ নিয়ে নতুন নৌকা এবং জাল কিনে নদী ইলিশ মাছ ধরার পূর্ণ প্রস্তুতি নদীতে নামে।কিন্তু জেলেরা দলবেঁধে মাছ ধরতে নদীতে গিয়ে দিন-রাত জাল ফেলে মাত্র ৫থেকে ১০টি ইলিশ নিয়ে হতাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। এই মাছ বিক্রি করে এনজিওর ঋণ ও মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধতো দূরের কথা নদীতে যেতে ইঞ্জিনের জন্য ক্রয় করা ডিজেলের দামও হয় না। যে কারণে দোকান থেকে চাল, ডাল, মরিচ ও তেল কিনে টাকা দিতে না পারায় দোকানদারও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামল দিচ্ছে না।

শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট এলাকার জেলে কবির মাঝি, ভূট্টো মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝিসহ অনেকে জানান, নদীতে মাছ নাই। দিন-রাত জাল ফেলে ৫-১০ টা মাছ পাই তা বিক্রি করে যে টাকা হয় তাতে ডিজেলের দাম হয় না। তারপরও পোলাপাইন নিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চলে। ইলিশের সৃজণ যতই শেষ হয়ে আসছে চিন্তা ততই বাড়ছে কারণ নদীতে মাছ না থাকায় পোলাপাইন ও পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারছিনা এটা অনেক কষ্টের।

মৎস্য আড়ৎদার জাহাঙ্গীর বলেন, দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার টাকার বাজার নিয়ে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যায়। রাত দিন জাল ফেলে মাছ পায় পাঁচ থেকে দশটি তা বিক্রি করে যে টাকা পায় তাতে দোকানের মালামালের টাকা দিলে আর জেলেদের তেমন একটা টাকা থাকে না। যে কারণে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

শশীগঞ্জ ঘাটের মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন বলেন, সৃজণের তিনমাস চলে গেলেও যে আশায় আমরা জেলেদেরকে দাদন দিয়েছি নদী গিয়ে জেলেরা সে অনুযায়ী মাছ পাচ্ছে না। যে কারণে উপজেলার প্রায় দুইশত মৎস্য আড়ৎদার এক রকমের মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে নদীতে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। ইলিশ হলো গভীর পানির মাছ তাই দিন দিন নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশের আকাল চলছে। ঝড়বৃষ্টি হলে মাছে বাড়তে পারে বলেও আশা তার।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৭:০৯   ৬০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

তজুমদ্দিন’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তজমদ্দিনে পল্লীসেবার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার ॥ তদন্ত কমিটি গঠন
তজুমদ্দিনে যুব উৎসব পালিত ॥
জনবল সংকটে তজুমদ্দিনে বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা ॥
তজুমদ্দিনে কেক কাটা, র‍্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এশিয়ান টিভির ১১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ।
তজুমদ্দিনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বন, সংরক্ষণের দাবী সচেতন মহলের
তজুমদ্দিনে অভিযান ২০ হাজার মিটার জাল আটক॥
শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এমপি শাওনের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন যুব মহিলা লীগ

আর্কাইভ