ভোলাবাণী ডেক্সঃ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। টিকাদানে শৃঙ্খলা আনতে বয়স ও অঞ্চলকে প্রধান্য দিয়ে শনিবার সকাল নয়টা থেকে দেশের সব ইউনিয়নে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকা কার্যক্রম।
গতকাল ঢাকার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণটিকাদান কার্যক্রমের কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। গণটিকায় কারা অগ্রাধিকার পাবেন সে বিষয়টিও পরিষ্কার করেন তিনি।স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, গণটিকাদান কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে বয়োজ্যষ্ঠ (৫০ ঊর্ধ্ব ), শারীরিক প্রতিবন্ধী, পঁচিশোর্ধ্ব বয়স্ক, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রমে শুরু হবে। এই দিনে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম চলবে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমকে একটি পাইলট প্রকল্প উল্লেখ করে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক দিনে কত পরিমাণে টিকা দিতে আমরা সক্ষম সেটি দেখতে চাই। প্রাথমিকভাবে ৭ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী করোনাভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে তারা হলেন;
১. ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সী।
২.অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশের্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীগণ
৩. দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী
ক্যাম্পেইনে সারাদেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে এক হাজার ৫৪টি পৌরসভার এবং সিটি কর্পোরশেন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোডিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারাদেশের সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৬:৪২ ৬২ বার পঠিত |