ভোলাবাণী স্পোটস ডেক্সঃ শততম টি-টোয়েন্টিতে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৫৩ রানের টার্গেটের জবাবে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈমের ফিফটিতে ৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে ১৫৬ করে বাংলাদেশ। এর আগে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয় সিকান্দার রাজার দল।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচে ৪৩ রানে জিতেছিল টাইগাররা। অভিষেকের মাত্র একজনই শততম টি-টোয়েন্টির সাক্ষী হয়ে থাকলেন। প্রায় ১৫ বছরের ব্যবধানে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দেশের শততম টি-টোয়েন্টিতেও খেললেন সাকিব আল হাসান।দাপুটে জয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার মাঠ ছাড়লেন মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে। তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ লিড নিল ১-০ ব্যবধানে। এর আগে সফরের একমাত্র টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে শতরান পার করে বাংলাদেশ। নাঈম ও সৌম্যের ৮০ বলে ১০১ রানের জুটি ভিত গড়ে দেয় টাইগারদের বড় জয়ের। ফিফটি উদ্যাপনের পর রান-আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। তার ৪৫ বলে ঝোড়ো ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ২ ছয়ে। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
সতীর্থকে হারালেও ধৈর্যশীল ব্যাট করতে থাকেন নাঈম। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় রান-আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (১৫)। এরপর সাকিবকে (১৬) নিয়ে জয়ের বাকি কাজটা সারেন নাঈম। তার ৫১ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চারে।
এর আগে হারারেতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ধাক্কা খায় শুরুতে। স্বাগতিকদের শিবিরে আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফিজ সাজঘরে ফেরান তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে (৭)।
স্বাগতিকদের রানের গতি সচল রাখেন আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাবা। দুজনের ৩৮ বলে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে মাধেভেরেকে (২৩) ফেরান তিনি।
ভয়ংকর হয়ে ওঠা চাকাবাকে ফিফটি করতে দেননি সাড়ে চার বছর পর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। জিম্বাবুয়েন উইকেটরক্ষককে রান-আউট করেন টাইগার উইকেটরক্ষক। চাকাবার ২২ বলের ঝোড়ো ৪৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ২ ছয়ে।
এর পরপরই অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ডাক উপহার দেন শরিফুল ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় উইকেট হিসেব ডিয়ন মায়ার্সকে (৩৫) বোল্ড করেন এই পেসার। এর আগে তারিসাই মুসাকান্দাকে (৬) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সৌম্য।
পরের দুই উইকেট লুক জংওয়ে (১৮) ও রায়ান বার্লকে (৪) তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। জিম্বাবুয়ের শিবিরে আঘাত শুরু মোস্তাফিজকে দিয়ে। শেষটাও করলেন তিনি। পরের দুই উইকেট রিচার্ড এনগারাবা (০) ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে (৮) বোল্ড করেন ফিজ। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৯:২২ ৬৫ বার পঠিত |