মুুমিনের ঘুম যখন ইবাদত

প্রথম পাতা » ইসলাম ও ধর্ম » মুুমিনের ঘুম যখন ইবাদত
সোমবার, ২৮ জুন ২০২১



ভোলাবাণী ডেক্সঃ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। নিন্দাহীনতা এক প্রকারের শারীরিক অসুস্থতা, যা মানবদেহে বহু রোগ-ব্যাধির জন্ম দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ঘুমকে তাঁর অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্রুত সময়ে রাতে ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৯-১০)

মুুমিনের ঘুম যখন ইবাদত

ঘুম আল্লাহর অনুগ্রহ : পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে ঘুমকে আল্লাহর অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির একটি হলো রাতে ও দিনের ঘুম এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ। নিশ্চয়ই এতে মনোযোগী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২৩)ঘুমের সময় : কোরআনে রাতকে ঘুমের সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হাদিসে দিনের বেলা সামান্য সময় বিশ্রামের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় যাকে ‘কাইলুলা’ বলা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে (রাতে) বিশ্রাম গ্রহণ করো ও (দিনে) তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৭৩)

বিনা প্রয়োজনে রাত-জাগা অপছন্দনীয় : আবু বারজা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর অহেতুক আলাপচারিতায় লিপ্ত হওয়া অপছন্দ করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৮)

মুমিনের ঘুম যেমন হয় : মুমিন তার জীবনের সব ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)-এর সুন্নাহর অনুসরণ করে। আর ঘুমের কতিপয় সুন্নত হলো—

১. ঘুমের আগে অজু করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৭)

২. ঘুমের আগে আগুন নিভিয়ে দেওয়া : মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে ঘরে আগুন জ্বেলে রাখবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ; ২০১৫)

৩. খাবারের পাত্র ঢেকে রাখা : নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা রাতে বাসনগুলো ঢেকে রাখবে, মশকগুলোর মুখ আটকে রাখবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫১৫০)

৪. বিসমিল্লাহ বলে ঘর-বাড়ির দরজা বন্ধ করা : নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে দরজা বন্ধ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩০৪)

৫. ঘুমের আগে বিছানা ঝাড়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ বিছানায় শয্যা গ্রহণ করতে যায়, সে যেন তার চাদরের ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানা ঝেড়ে নেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩২০)

৬. ডান কাত হয়ে শোয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও তখন তুমি নামাজের অজুর মতো অজু করো এরপর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়ো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৮৮)

৭. ঘুমের আগে ও পরে দোয়া পড়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমের আগে ও পরে মাসনুন দোয়া পড়তেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩১৪)

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৭:০০   ১২৬ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ইসলাম ও ধর্ম’র আরও খবর


পবিত্র মাহে রমজানের ৮ সুন্নত
আল্লাহর যেসব হক আদায় করা মুমিনের কর্তব্য
তুরাগতীরে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত
আতিথেয়তায় আল্লাহর অনুগ্রহ মিলে যেভাবে
লিবিয়ায় মুসলিম বিজয়ের ইতিহাস
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
কাদের জন্য ওমরাহ , এর ফজিলত ও কবুল হওয়ার শর্ত
ধর্মীয় সম্প্রীতির নতুন ভুবন: আমিরাতে একই কমপ্লেক্সে মসজিদ-গির্জা-সিনাগগ
পবিত্র হজ আজ লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাতের ময়দান
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

আর্কাইভ