নিজস্ব প্রতিনিধি।।ভোলাবাণী।।
নাম কারুল আহসান চৌধুরী সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও শিক্ষিত পরিবারে জন্ম। শিক্ষার দিক দিয়ে বলতে গেলে পূর্ব পুরুষ সবাই শিক্ষিত। পূর্বে এক শত প্রজন্ম ও পরের প্রজন্ম কোথাও সু-শিক্ষার কোনো কমতি নেই।
পরিচয়ঃ তাঁর দাদার বাবা মৌলভী আব্দুল লতিফ চৌধুরী কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা হইতে ভারতীয় উপমহাদেশে ফাস্ট হন। তাঁর দাদা সেকান্দার আলী চৌধুরী কলকাতা আলীয়া হইতে কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। তাঁর বাবা মাওলানা মাহবুব চৌধুরী শরসিনা আলীয়া মাদ্রাসা হইতে কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে মির্জাকালু হাই স্কুল হইতে প্রথম বিভাগে এস এস সি পাশ করেন, ভোলা সরকারী কলেজ হইতে আইকম ও বিকম পাশ করেন। তাঁর নানা কাজী মোঃ আব্দুল ওয়ারেজ ছিলেন ভোলা উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদীর কোরালিয়ার নিবাসী। তিনি ছিলে জমিদার। তাঁর মাতা মরহুমা কাজী আরজুমান আরা বেগম এর একাডেমিক কোন সনদ না থাকলেও তিনি আরবী ইংরেজী ও বাংলায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর বড় বোন জগন্নাথ কলেজ হইতে ইংরেজীতে এম এ পাশ করেন। তাঁর ছোট বোন সমাজ কল্যানে এমএ পাশ করেন। তাঁর স্ত্রী ইসলামের ইতিহাসে এমএ পাশ। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর ছেলে এইচএসসি পাস করে এখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির অপেক্ষায়। কন্যা দয় নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাঁর নিজের শিক্ষা জীবনঃ তিনি মির্জাকালু হাই এটাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি মির্জাকালু মাধ্যমিক বিদ্যালয় হইতে এসএসসি পাস করেন। তিনি বোরহানউদ্দিন আব্দুল জব্বার মহাবিদ্যালয় হইতে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ভোলা সরকারী কলেজ হইতে বিকম পাস করেন। তিনি জগন্নাথ কলেজ (বতর্মানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হইতে একাউন্টিং বিষয়ে এমকম পাস করেন। বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্টেন্টস (সিএ) ফার্ম আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী এ অধ্যায়ন করেন এনং উক্ত ফার্মের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্টেন্টস (সিএ) ফার্ম আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী এ অধ্যায়ন করেন এনং উক্ত ফার্মের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে আয়কর আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি সেন্ট্রাল ল কলেজ হইতে এলএলবি পাস করেন। তাঁর বসত বাড়ী ও ঢাকার বাসায় ডুকলেই মনে হবে বিদ্যার সাগরে এসেছি। সাজানো আছে সারিসারি সকল বই। আরবী, ফার্সি, উর্দু, বাংলা, ইংরেজী সাহিত্যের ও আইনের বই।
কর্ম জীবনঃ তিনি ১৯৯৬ সাল হইতে অদ্যবদি বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস (সিএ) ফার্মের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি সন্ধ্যানী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, পূরবী জেনারেল ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, এ্যামিকো ল্যাবরেটরীজ লিঃ, মোনা ফিন্যান্সিয়াল কন্সালট্যান্সি এন্ড সিকিউরিটিজ লিঃ, সন্ধ্যানী লাইফ হাউজিং লিঃ,সন্ধ্যানী লাইফ ফ্যাইনেন্স লিঃ, পান্না স্পিনিং মিলস লিঃ,পান্না টেক্সটাইল মিলস লিঃ, এট কর্নার লিঃ, শমরিতা হাসপাতাল লিঃ, এম এইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইনকিলাব এন্টারপ্রাইজ এন্ড পাবলিকেশন্স লিঃ, কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স এন্ড প্রোডাক্টস লিঃ শাহীন এন্ড ব্রাদার্স লিঃ, রিভার সাইড লেদার এন্ড ফুট ওয়্যার লিঃ, নিপ্পন কই লিঃ, আরপিজি ট্রান্সমিশন লিঃ কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস লিঃ, রামধনু গার্মেন্টস লিঃ, আরাফা কর্পোরেশন, লিঃ, একতা কর্পোরেশন নিঃ, সিটাডেল ডেভলপার্স লিঃ,এসএনস প্রপার্টিস লিঃ, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল সিকিউরিটিজ লিঃ, বি২এম লিঃ, এক্সজিউম টেকনোলজিস লিঃ, এডবক্স বাংলাদেশ লিঃ সহ শতাধিক কোম্পানীর আয়কর উপদেষ্টা ও কোম্পানী আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনঃ তাঁর দাদা মৌলভী সেকান্দার আলী চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এর কাছের ছিলেন। বাবা মাওলানা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি নিজে স্কুল জীবন হইতে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। ভোলা সরকারী কলেজে অধ্যায়ন কালে ভোলা সরকারী কলেজ সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত ইয়ানুর -যোবায়ের -রিয়াজ পরিষদের নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তখনকার বিএনপি ও তাদের ক্যাডার বাহিনী বন্ধুজন পরিষদের বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হন। তিনি নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এর সময় বোরহানউদ্দিনে যুব সমাজের অফিস ভাংচুর এর সময় হামলার শিকার হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলনে ভোলা ও ঢাকায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগে মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের এর নির্বাচনী কর্মী ছিলেন। ১৯৯৬সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহনের পর তিনি কর্মের জন্য ঢাকা চলে যান। ২০০১সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে এসে আবার মাননীয় নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনে কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের পর বিএনপির লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা নিগৃহীত হন। ২০০১সাল হইতে ২০০৮সাল পযর্ন্ত বিএনপি জামাত জোট বিরোধী আওয়ামীলীগের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮সালের নির্বাচনে মাননীয় নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের পৌরসভার নির্বাচনে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান এর মেয়র নির্বাচনের প্রচারনায় অংশগ্রহন করেন। ২০০৮সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারনার সময় টবগীর জনগনের ইচ্ছে ও নেতা-কর্মীদের চাপে ২০১১সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ও নির্বাচিত হন।
২০১৪সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল মহোদয় এর নির্বাচন পরিচালনা দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ ও ২০১৯সালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে পূনরায় বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ ও ২০২০ সালে বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের সদস্যগনের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন।
সফলতাঃ টবগী ইউনিয়নের দুইবারের সফল চেয়ারম্যান। টবগী ইউনিয়নের জনকল্যানে তার কৃতিত্বের কোনো কমতি নেই। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির রাস্তা -ঘাট সবখানেই রয়েছে তার অনুদান। বৈশ্বিক মহামারী করনা কালে নিজের জীবনের ঝু্ঁকি নিয়ে জনস্বার্থে রাত বিরাতে বেড়িয়ে পরেছেন হাঁট- বাজারে রাস্তা -ঘাটে কর্মস্থলে সকলকে সতর্ক করা ও নিয়ম কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেয়ার জন্য। সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে সহায়তা করছেন অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে। এছাড়াও নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝে মূল্যবান অবসর সময়টুকু পরিবারে সাথে না কাটিয়ে সুদুর ঢাকার নিজ কর্মস্থল থেকে ছুটে চলে আসে জনগণের কাছে। সবমিলিয়ে জনসেবাই যেনো তার নেশা। এছাড়াও রয়েছে তার অসংখ্য জনসেবা ও সৎকর্মের ইতিহাস যা বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন।তবে প্রতিটা সমাজেই ভালো মন্দ দুই শ্রেণীর লোকই থাকে। এর ভিতরে কিছু লোক আছে পরের ক্ষতি ছাড়া অন্যের উপকার করবেই না বরঞ্চ অন্যের ভালো কাজগুলোও সহ্য করতে পারেনা, তাই তারা সবসময়ই ভালো মানুষের পিছনে লেগে থাকে আর বাজে মন্তব্যে ব্যাস্ত থাকে। তাই বলে থেমে থাকবে না কিছুই। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি তিনি যেনো সুস্থভাবে হাজার বছর বেঁচে থাকেন টবগীর আপামরসাধারণের ভালোবাসায়।আপনার তুলনা শুধুই আপনি। অন্যের সাথ আপনার তুলনা কখনোই বুদ্ধিমান টবগী বাসী করে না। মূর্খ দুই চার জন ছাড়া সকল টবগীবাসী আপনার সাথে আছে।আপনি এগিয়ে যান আপনার গন্তব্যে। আল্লাহ হাফেজ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৮:২৬ ৯৫ বার পঠিত |