ভোলায় আইনজীবির চেম্বারে ঢুকে আসামিকে মারধর করল বাদী

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলায় আইনজীবির চেম্বারে ঢুকে আসামিকে মারধর করল বাদী
রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০



স্ট্যাফ রির্পোটার ।।ভোলাবাণী।।হামলায় আহত মিজান বলেন, আমি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন আগে রিফা বেগম নামে এক নারী আমার নামে হাঁস চুরির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং পুলিশকে দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করায়। আমি বেশ কিছু দিন জেল খেটে শনিবার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছি। আইনি সহায়তা বিষয়ক কথা বলতে আমি আমার আইনজীবী এ্যাডভোকেট ছালাউদ্দিন হাওলাদারের চেম্বারে যাই।

ভোলায় আইনজীবির চেম্বারে ঢুকে  আসামিকে মারধর করল বাদী

সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমি ছালাহউদ্দিন হাওলাদারের চেম্বারে নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই মুহূর্তে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা মামলার বাদী রিফা বেগমের নেতৃত্বে খলিলুর রহমান গাজী, নোমান, মোঃ রাসেল, মোঃ ইমন, সূচনা আক্তার, ইনসানা আক্তারসহ ৭-৮ জন লোক হঠাৎ করে এসে আমাকে মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে আমাকে আহত করে ও আমার গায়ের শাট খুলে আমাকে পেটাতে থাকে। আমি তাদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে গিয়ে আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার অফিস কক্ষে আশ্রয় নেই। কিছুক্ষণ পরে ভোলা থানার এসআই লুৎফর ও এক কনস্টেবল সহ হামলাকারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে অফিস কক্ষে ঢুকে সাত-আটজন আইনজীবীর সামনে রিফা বেগমসহ হামলাকারীরা আমাকে আবারো মারধোর করে। এক পর্যায়ে আমার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার ও অফিস রুমে উপস্থিত থাকা লোকজন আমাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে। অফিস রুমে এসে ভোলা থানার এসআই লুৎফর আমাকে গালিগালাজ শুরু করে ও আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। আমি তাকে বলি আমার নামে যে মামলাটি রয়েছে সে মামলায় আজকে আমি জামিনে বের হয়েছি। আমার নামে আর কোনো মামলা নেই তাহলে আপনি আমাকে গ্রেপ্তার করতে চান কেন? আমি এ হামলার ও ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের চেস্টার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমার একজন মক্কেল সন্ধ্যায় আমার অফিসে দৌড়ে আসে এবং বলে তাকে তার মামলার বাদীসহ ৭-৮ জন লোক মেরেছে। তখন আমি তাকে আমার অফিস কক্ষে বসতে বলি। তার কিছুক্ষণ পরেই ৪৫৯/২০ মামলার বাদী রিফা বেগম ৭-৮ জন লোকসহ আমার চেম্বারে ঢুকে মিজানকে আবারো মারধর শুরু করে তখন আমি তাদেরকে মারধর করতে নিষেধ করি। তখন হামলাকারীদের সাথে আসা দুই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয়। একজন নিজেকে এসআই ও কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেয়। হামলাকারীদের সাথে আসা এসআই লুৎফর আমার ও আমার আইনজীবদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। আমি সাথে সাথে বিষয়টি ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং ভোলা সদর থানার ওসিকে জানিয়েছি।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাকে আইনজীবি ছালাউদ্দিন সাহেব জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৬:১১   ১৮৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ